পি এল আই ডিঃ কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

পি এল আই ডি কি? কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার ও বিশেষ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

পি এল আই ডি (PLID) কি?

পিএলআইডি-এর পুরো নাম হলো প্রলাপসড লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি মেরুদণ্ডের কোমরের অংশে দেখা দেওয়া একটি সমস্যা। আমাদের মেরুদণ্ড অনেক ছোট ছোট হাড় বা কশেরুকা (vertebrae) দিয়ে তৈরি। এই কশেরুকাগুলোর মাঝখানে নরম, জেলি-সদৃশ প্যাড থাকে, যাদের ডিস্ক বলা হয়। এই ডিস্কগুলো কুশনের মতো কাজ করে এবং মেরুদণ্ডকে নড়াচড়া করতে ও চাপ সহ্য করতে সাহায্য করে।

এই ডিস্কের দুটি অংশ থাকে: ভেতরের নরম অংশকে নিউক্লিয়াস পালপোসাস এবং বাইরের শক্ত আবরণকে অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস বলে। যখন কোনো কারণে ডিস্কের বাইরের শক্ত আবরণ (অ্যানুলাস ফাইব্রোসাস) ছিঁড়ে যায়, তখন ভেতরের নরম অংশ (নিউক্লিয়াস পালপোসাস) তার স্বাভাবিক অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসে। এই বেরিয়ে আসা অংশটি তখন মেরুদণ্ডের কাছাকাছি থাকা স্নায়ুর ওপর চাপ সৃষ্টি করে।

এই স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ার কারণেই মূলত সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে কোমরে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয় এবং সেই ব্যথা কোমর থেকে পা পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই, পিএলআইডি হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে মেরুদণ্ডের ডিস্কের ভেতরের অংশ বেরিয়ে এসে স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে কোমর ও পায়ে ব্যথা হয়।

প্রেসার কত হলে স্ট্রোক হয় জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

পিএলআইডি-এর কারণসমূহ

 

পিএলআইডি-এর কারণসমূহ

পিএলআইডি বা প্রলাপসড লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক হওয়ার বেশ কিছু কারণ আছে। এর মধ্যে একটি প্রধান কারণ হলো আঘাত বা চোট। হঠাৎ করে মেরুদণ্ডে কোনো ধরনের আঘাত লাগলে, যেমন খেলাধুলা করতে গিয়ে পড়ে গেলে, ভারী কিছু তুলতে গিয়ে টান লাগলে বা কোনো দুর্ঘটনার কারণে ডিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এই ধরনের আঘাতের ফলে ডিস্কের বাইরের আবরণ ছিঁড়ে ভেতরের নরম অংশ বেরিয়ে আসতে পারে।

এছাড়াও, বয়সজনিত ডিস্কের ক্ষয় পিএলআইডির একটি সাধারণ কারণ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মেরুদণ্ডের ডিস্কগুলো স্বাভাবিকভাবেই শুষ্ক ও দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে তাদের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় এবং তারা সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত ওজন বহন করা বা ভুল ভঙ্গিতে বসা বা কাজ করা মেরুদণ্ডের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে, যা ডিস্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

দীর্ঘ সময় ধরে একই অবস্থানে থাকা বা কোনো বিরতি না নিয়ে বসে বা দাঁড়িয়ে কাজ করাও ডিস্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে। এর ফলে ডিস্কের উপর অসম চাপ পড়ে এবং তা দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও, মেরুদণ্ডের অন্যান্য রোগ, যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিস (হাড়ের জয়েন্টের ক্ষয়) বা স্পন্ডাইলোসিস (মেরুদণ্ডের জয়েন্টগুলোতে ক্ষয়জনিত পরিবর্তন) থাকলে পিএলআইডি হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই রোগগুলো মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক গঠন ও কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে ডিস্ককে দুর্বল করে তোলে, যা পিএলআইডি হওয়ার পথ খুলে দেয়।

স্ট্রোকের কারণে প্যারালাইসিস কিভাবে হয় জানতে এই পোস্টটি পড়ে নিন।

পিএলআইডি-এর লক্ষণসমূহ

পিএলআইডি-এর লক্ষণসমূহ

পিএলআইডি বা প্রলাপসড লাম্বার ইন্টারভার্টিব্রাল ডিস্ক যখন হয়, তখন বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অস্বস্তি দেখা দেয়, যা দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। নিচে এর প্রধান লক্ষণগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো:

  • প্রচণ্ড কোমর ব্যথা: পিএলআইডি-এর সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রধান লক্ষণ হলো কোমর ব্যথা। এই ব্যথা হালকা থেকে শুরু করে তীব্র হতে পারে এবং সাধারণত মেরুদণ্ডের নিচের অংশে অনুভূত হয়। এই ব্যথা প্রায়শই কোমর থেকে নিতম্ব, উরু এবং পায়ের নিচের অংশে ছড়িয়ে পড়ে, যাকে সায়াটিকা ব্যথা বলা হয়। কারণ হলো, স্নায়ুর উপর চাপ পড়ার কারণে ব্যথার অনুভূতি স্নায়ুপথ বরাবর ছড়িয়ে যায়। রোগী দাঁড়ানো, বসা বা হাঁটার সময় এই ব্যথায় ভুগতে পারেন।
  • পায়ে ঝিনঝিন বা অবশ অনুভূতি: ডিস্ক যখন স্নায়ুর উপর চাপ সৃষ্টি করে, তখন সেই স্নায়ু যে অংশে সংবেদন সরবরাহ করে, সেখানে অস্বাভাবিক অনুভূতি তৈরি হতে পারে। এর ফলে পায়ে ঝিনঝিন করা (প্যারাস্থেসিয়া), অসাড়তা বা “কাঁটা কাঁটা লাগার” মতো অনুভূতি হয়। এটি পায়ের যেকোনো অংশে, বিশেষ করে গোড়ালি বা পায়ের আঙ্গুলে হতে পারে। এই অনুভূতিগুলো সাধারণত একটানা থাকে এবং রোগীর জন্য বেশ অস্বস্তিকর হতে পারে।
  • পায়ের শক্তি কমে যাওয়া: ডিস্কের চাপ যদি স্নায়ুর উপর দীর্ঘ সময় ধরে থাকে বা চাপ খুব বেশি হয়, তাহলে সেই স্নায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পেশিগুলো দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এর ফলে পায়ের শক্তি কমে যায়, যা হাঁটাচলায় সমস্যা তৈরি করে। রোগী হয়তো পায়ের পাতা ওঠাতে বা পায়ের আঙ্গুল নাড়াতেও অসুবিধা অনুভব করতে পারেন (ড্রপ ফুট), যা দৈনন্দিন কাজ যেমন সিঁড়ি দিয়ে ওঠা বা নিচু স্থান থেকে কিছু তোলার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে।
  • কাশি বা হাঁচি দিলে ব্যথা বেড়ে যাওয়া: কাশি, হাঁচি বা এমনকি হাসির মতো সাধারণ শারীরিক ক্রিয়াগুলোও মেরুদণ্ডের উপর আকস্মিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। যখন ডিস্কের কারণে স্নায়ুর উপর চাপ থাকে, তখন এই ধরনের ক্রিয়াকলাপের সময় সেই চাপ আরও বেড়ে যায়, যার ফলে কোমরে এবং পায়ে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়। এটি পিএলআইডি-এর একটি বিশেষ লক্ষণ, যা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে।
  • কোমর বাঁকা হয়ে যাওয়া বা একদিকে সরে যাওয়া: তীব্র ব্যথার কারণে শরীর একটি বিশেষ ভঙ্গিতে হেলে যেতে পারে, যাতে স্নায়ুর উপর চাপ কিছুটা কমে। এর ফলে কোমর একদিকে বাঁকা হয়ে যেতে পারে বা একদিকে সরে যেতে পারে। এই অবস্থাটি লিম্প বা বাঁকা হয়ে হাঁটার কারণ হতে পারে এবং রোগীর স্বাভাবিক ভঙ্গি পরিবর্তন করে দেয়।
  • গুরুতর ক্ষেত্রে প্রস্রাব ও পায়খানা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা: এটি পিএলআইডি-এর একটি জরুরি এবং গুরুতর লক্ষণ। যদি ডিস্কের চাপ মেরুদণ্ডের স্নায়ুর একটি বিশেষ গুচ্ছের (যাকে কৌডা ইকুইনা বলা হয়) উপর পড়ে, তাহলে প্রস্রাব এবং পায়খানা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। এর ফলে মূত্রাশয় এবং অন্ত্রের কার্যকারিতা নষ্ট হয়, যা একটি কৌডা ইকুইন সিনড্রোম নামক জরুরি অবস্থার সৃষ্টি করে। এই লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ দ্রুত চিকিৎসা না হলে স্থায়ী স্নায়ুর ক্ষতি হতে পারে।

ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক কেন হয় ভালো করে জানুন

পিএলআইডি-এর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

পিএলআইডি-এর ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা

পিএলআইডি (Prolapsed Lumbar Intervertebral Disc) হলে ব্যথা কমানো এবং স্বাভাবিক চলাচলের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনার জন্য ফিজিওথেরাপি খুব দরকারি একটি চিকিৎসা। ফিজিওথেরাপিস্টরা বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করেন। নিচে এর প্রধান কিছু পদ্ধতি সহজভাবে তুলে ধরা হলো:

ম্যানুয়াল টেকনিক

যখন কোমরে ব্যথার কারণে শরীর একদিকে বেঁকে যায় বা কোমর সোজা করতে সমস্যা হয়, তখন ফিজিওথেরাপিস্টরা হাতে করে বিশেষ কিছু কাজ করেন। তারা আলতোভাবে কোমর বা মেরুদণ্ডের হাড়গুলোকে সঠিক জায়গায় বসানোর চেষ্টা করেন। এর ফলে মেরুদণ্ডের নড়াচড়া স্বাভাবিক হয় এবং পেশীর টান কমে ব্যথা কমে আসে। এই পদ্ধতি রোগীর ভঙ্গি ঠিক করতেও সাহায্য করে।

মাইক্রো কারেন্ট থেরাপি

এটি এক ধরনের আধুনিক চিকিৎসা, যেখানে খুব অল্প পরিমাণে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। এই বিদ্যুৎ প্রবাহ ব্যথার জায়গায় গিয়ে দ্রুত ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলোকে দ্রুত সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে এবং ওই অংশে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে প্রদাহ বা ফোলা কমায়।

ডিরেকশনাল এক্সারসাইজ

রোগীর অবস্থা বুঝে ফিজিওথেরাপিস্ট কিছু নির্দিষ্ট ব্যায়াম শিখিয়ে দেন। এই ব্যায়ামগুলো মেরুদণ্ডের ডিস্কের উপর চাপ কমাতে এবং ডিস্কটিকে আবার সঠিক জায়গায় আনতে সাহায্য করে। যেমন, অনেক সময় মেরুদণ্ড পেছনের দিকে বাঁকানোর কিছু ব্যায়াম (এক্সটেনশন প্রটোকল) দেওয়া হয়। এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত ও সঠিক পদ্ধতিতে করলে ব্যথা কমে আসে এবং মেরুদণ্ড মজবুত হয়।

মাস্কুলার ইমব্যালেন্স কারেকশন

পিএলআইডি হলে কোমর ও পেটের কিছু পেশী দুর্বল হয়ে যায় এবং কিছু পেশী শক্ত হয়ে যায়। ফিজিওথেরাপিস্টরা এমন কিছু ব্যায়াম করান যার মাধ্যমে দুর্বল পেশীগুলো শক্তিশালী হয় এবং শক্ত পেশীগুলো নরম হয়। এতে পেশীগুলোর মধ্যে ভারসাম্য ফিরে আসে। পেশীর সঠিক ভারসাম্য থাকলে মেরুদণ্ডের উপর চাপ কমে এবং ভবিষ্যতে আবার ডিস্কের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

অন্যান্য থেরাপি

উপরে বলা পদ্ধতিগুলো ছাড়াও, রোগীর অবস্থা অনুযায়ী আরও কিছু চিকিৎসা দেওয়া হতে পারে:

  • ড্রাই নিডলিং: খুব পাতলা সুঁচ ব্যবহার করে ব্যথাপূর্ণ পেশীতে ঢুকিয়ে টান কমানো হয়, এতে ব্যথা কমে আসে।
  • আকুপাংচার: এটি একটি পুরোনো চাইনিজ চিকিৎসা। শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সুঁচ ঢুকিয়ে ব্যথা কমানো হয় এবং শরীরের নিজের সেরে ওঠার ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলা হয়।
  • শকওয়েভ থেরাপি: উচ্চ শক্তির শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে দীর্ঘদিনের ব্যথা কমানো হয় এবং শরীরের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে সেরে উঠতে সাহায্য করা হয়।

পিএলআইডি বা প্রোল্যাপ্সড লাম্বার ইন্টারভার্টেব্রাল ডিস্ক একটি প্রচলিত মেরুদণ্ডের সমস্যা, যা পিঠের তীব্র ব্যথা থেকে শুরু করে পায়ের দুর্বলতা পর্যন্ত নানা ধরনের কষ্টকর লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে। এই রোগের মূল কারণগুলির মধ্যে রয়েছে হঠাৎ করে ভারী জিনিস তোলা, আঘাত লাগা, ভুল ভঙ্গিতে বসা বা দাঁড়ানো, এবং বার্ধক্যজনিত ক্ষয়। প্রাথমিকভাবে কোমর বা পায়ের দিকে ব্যথার অনুভূতি হয়, যা অনেক সময় অসাড়তা বা ঝিনঝিন করার মতোও হতে পারে। অনেক সময় কাশি বা হাঁচি দিলে ব্যথা বেড়ে যায়, যা ডিস্কের উপর চাপের ইঙ্গিত দেয়। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় এবং উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অত্যন্ত জরুরি।

শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনে এমআরআই (MRI) স্ক্যানের মাধ্যমে পিএলআইডি রোগটি সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসার মূল লক্ষ্য হলো ব্যথা কমানো, প্রদাহ নিয়ন্ত্রণ করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনা। এক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করেন। এই পরিকল্পনায় বিভিন্ন ধরনের থেরাপিউটিক ব্যায়াম, ম্যানুয়াল থেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি এবং ব্যথা কমানোর কৌশল অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। ফিজিওথেরাপি শুধু ব্যথা কমায় না, বরং মেরুদণ্ডের স্থিতিশীলতা বাড়াতে, পেশী শক্তিশালী করতে এবং সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

এটা মনে রাখা জরুরি যে, পিএলআইডি রোগের শুরুতে দ্রুত এবং সঠিক ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা গ্রহণ করলে অপারেশনের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। যদিও কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে, তবে বেশিরভাগ রোগীই সঠিক ফিজিওথেরাপি এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তনে সুস্থ হয়ে ওঠেন। নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক দেহভঙ্গি বজায় রাখা, এবং অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা ভবিষ্যতে এই রোগ প্রতিরোধের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন ফিজিওথেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত চিকিৎসা পরিকল্পনা অনুসরণ করলে রোগী কেবল ব্যথা থেকেই মুক্তি পান না, বরং একটি সুস্থ ও সক্রিয় জীবনধারায় ফিরে আসার পথও প্রশস্ত হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top