নিউরোপ্যাথি

নিউরোপ্যাথি কি

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি মূলত স্নায়ুর রোগ। নিউরোপ্যাথি শব্দটির নিউরো অর্থাৎ নার্ভাস সিস্টেম এবং প্যাথি অর্থাৎ ডিজিজ অব” নিয়ে গঠিত এবং সাধারণত এটি পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথিকেই বুঝায়। যখন শুধুমাত্র একটি স্নায়ুকে প্রভাবিত করে তখন এটিকে মনো-নিউরোপ্যথি এবং যখন শরীরের উভয়পাশের অসংখ্য স্নাযুকে প্রভাবিত করে তখন সেটিকে পলিনিউরোপ্যাথি বলা হয়।
পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র শরীরের একটি যোগাযোগ পদ্ধতি সেটি কেন্দ্রিয় স্নায়ুতন্ত্রে (মস্তিক ও মেরুদন্ড) এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে সংকেত পাঠায়। পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হলে তাকে পেরিফেরাল নিউরোপ্যথি বলে।

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি কারনঃ

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথির প্রধান ও মূল কারণ হলো’ ‘ডায়াবেটিস। অন্যান্য কিছু কারনও রয়েছে।যেমন-

  • ভিটামিনের ঘাটতি।
  • স্নায়ুতে আঘাত।
  • রক্তনালীতে প্রদাহ
  • রিউমাটয়েড আর্থাইটিস।
  • ক্রনিক কিডনি ও যকৃতের অসুখ।
  • হারপিস, জোস্টার ভাইরাসের সংক্রমন।

উপসর্গ:
১) পেশীর দুর্বলতা
২) পেশীতে খিচুনী
৩) পেশীতে ঝাঁকুনি ও কুচকে যাওয়া।
৪)সংবেদনশীলতা যেমন ব্যথা,স্পর্শ, তাপমাত্রার
পরিবর্তন বুঝার ক্ষমতা ইত্যাদি কমে যাওয়া।
৫) মোটর সমন্বয় অর্থাৎ হাঁটা, সূক্ষাতিসূক্ষ কাজ করা বোতাম আটকানো ইত্যাদিতে অসুবিধা হওয়া।
৪) গরম সহ্য না হওয়া।

রোগ নির্নয়ঃ

১) ডায়াবেটিস ও ভিটামিনের অভাব নির্নয়।
২) NCS পরীক্ষা।
৩) MRI
৪) EMG
এই সকল পরীক্ষা ছাড়াও একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিষ্ট শারিরীক কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং কিছু বিশেষায়িত পরিক্ষার মাধ্যমে রোগ শনাক্ত করেন।

পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি  চিকিৎসাঃ

  •  ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনের ওষুধ ও ভিটামিন জাতীয় ওষুধ দেয়া হয়ে থাকে।
  •  স্নায়ুর ব্যথা কমাতে ব্যথানাশক দেওয়া হয়।
  •  অত্যাধুনিক ফিজিওথেরাপীর মাধ্যমে নিউরোপ্যথি জনিত সমস্যার সমাধান করা হয়ে থাকে।
    ফিজিওথেরাপী-
  •  নিউরো- ডায়নামিক স্ট্রেচিং এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংবেদন অনুভূতি শক্তিসালি করে।
  • পেশীর শক্তি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভারসাম্য রক্ষা ও শরীরের সমন্বয় উন্নত করার জন্য বিভিন্ন ম্যানুয়াল থেরাপি অনুসরণ করা হয়।।
  •  আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি ব্যথা কমাতে দ্রুত সাহায্য করে।
  •  আক্রান্ত স্থানে গরম ও ঠান্ডার কম্বিনেশন থেরাপী জ্বালা পোড়া কমাতে সাহায্য করে।
  •  আরটিএমএস থেরাপি অনেক কার্যকরী।