মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ (TIA - Transient Ischemic Attack)

মিনি স্ট্রোকের বিশেষ কারণ ও লক্ষণঃ এটি কি আমাদের বড় কোনো রোগের দিকে ইঙ্গিত করে?

মিনি স্ট্রোকের বিশেষ কারণ ও লক্ষণঃ এটি কি আমাদের বড় কোনো রোগের দিকে ইঙ্গিত করে?

মিনি স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (TIA) হলো একটি সাময়িক মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের ব্যাঘাত, যা সাধারণত কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। এটি একটি স্বল্পস্থায়ী স্ট্রোকের মতো লক্ষণ দেখায়, যেমন শরীরের এক পাশে দুর্বলতা, কথা বলতে অসুবিধা বা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস। এই লক্ষণগুলো সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়ে যায়। মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ নিয়ে আমরা জ বিস্তারিত আলোচনা করবো।

মিনি স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (TIA) কী

মিনি স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (TIA) কী?

মিনি স্ট্রোক বা TIA সাধারণত মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে একটি অস্থায়ী রক্তনালী বন্ধ হওয়ার কারণে ঘটে। এই বন্ধ সাধারণত একটি রক্তজমাট বা চর্বিযুক্ত পদার্থ দ্বারা ঘটে। বয়স্ক ব্যক্তি, উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, ধূমপান এবং অত্যধিক মদ্যপান এই অবস্থার ঝুঁকি বাড়ায়। এছাড়াও, অনিয়মিত হার্টবিট যেমন এট্রিয়াল ফিব্রিলেশনও একটি ঝুঁকির কারণ।

এটি একটি বিশেষ সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করে, যা ভবিষ্যতে একটি বড় স্ট্রোকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে। তাই, এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান এড়ানো এবং অতিরিক্ত মদ্যপান কমানো প্রয়োজন। এছাড়াও, অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অল্প বয়সে স্ট্রোক করার ব্যপারে কিছু বিস্তারিত জানতে আমাদের এই পোস্টটি পড়ে নিন।

মিনি স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ

মিনি স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ

হঠাৎ কথা জড়িয়ে যাওয়া বা অস্পষ্ট ভাষা

মিনি স্ট্রোক বা ট্রানজিয়েন্ট ইস্কেমিক অ্যাটাক (TIA) এর সময় হঠাৎ কথা জড়িয়ে যাওয়া বা অস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার করা একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি ঘটে মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে, এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মিনি স্ট্রোকের সময় ভাষা সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ হল মস্তিষ্কের ভাষা কেন্দ্রে অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি ব্রেইনের ব্রোকা বা ওয়ার্নিক এলাকায় ঘটতে পারে, যা বাক উৎপাদন এবং বোঝার জন্য দায়ী। এই সমস্যাগুলো সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হলেও, তারা ভবিষ্যতে একটি বড় স্ট্রোকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে।

মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে, বিশেষ করে ভাষা সমস্যা দেখা দিলে, তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসা সেবা নেওয়া উচিত। চিকিৎসকরা সাধারণত রোগীর ইতিহাস পর্যালোচনা করেন এবং প্রয়োজন অনুসারে মস্তিষ্কের ইমেজিং পরীক্ষা করেন। প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন অনুসরণ করা এবং অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ধূমপান এড়ানো, অতিরিক্ত মদ্যপান কমানো এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত।

এক বা দুই চোখে হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা ঝাপসা দেখা

মিনি স্ট্রোকের সময় এক বা দুই চোখে হঠাৎ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া বা ঝাপসা দেখা একটি সাধারণ লক্ষণ। এটি ঘটে মস্তিষ্কের দৃষ্টি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যায়। তবে, এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা সেবা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ সময় দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা ঝাপসা দেখা দেওয়ার কারণ হল মস্তিষ্কের দৃষ্টি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় অস্থায়ীভাবে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি ব্রেইনের অক্সিপিটাল লোব বা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় ঘটতে পারে, যা দৃষ্টি প্রক্রিয়াকরণের জন্য দায়ী। এই সমস্যাগুলো সাধারণত স্বল্পস্থায়ী হলেও, তারা ভবিষ্যতে একটি বড় স্ট্রোকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিতে পারে।

মিনি স্ট্রোকের ফলে শরীরের এক পাশ দুর্বল বা অবশ অনুভব করা

শরীরের এক পাশ দুর্বল বা অবশ অনুভব করা

এই ধরনের মিনি স্ট্রোক সাধারণত কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হয় এবং স্থায়ী ক্ষতি করে না। মিনি স্ট্রোকের লক্ষণগুলি পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের মতোই হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে শরীরের এক পাশ দুর্বল বা অবশ অনুভব করা, মুখের এক পাশ বেঁকে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, এবং হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা।

মিনি স্ট্রোকের কারণগুলি পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের মতোই, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান, এবং পারিবারিক ইতিহাস। এই অবস্থাটি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে যে ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই, মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মাথা ঘোরা বা ভারসাম্য হারানো

মিনি স্ট্রোকের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে মাথা ঘোরা, ভারসাম্য হারানো, শরীরের এক পাশ দুর্বল বা অবশ অনুভব করা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা, এবং হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা। এই লক্ষণগুলি সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজে নিজেই সেরে যায়। মিনি স্ট্রোকের সময় মাথা ঘোরা এবং ভারসাম্য হারানোর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি মস্তিষ্কের রক্ত সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার কারণে হয়। এই লক্ষণগুলি সাধারণত কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজে নিজেই সেরে যায়।

তবে, এই অবস্থাটি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে যে ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই, এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে এবং জীবনযাত্রার পরিবর্তন করে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

মিনি স্ট্রোকের কারণগুলি পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের মতোই, যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান, এবং পারিবারিক ইতিহাস। এই অবস্থাটি একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করে যে ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকতে পারে। তাই, মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা (বিনা কারণে)

মিনি স্ট্রোকের ফলে সৃষ্ট মাথাব্যথা প্রায়শই বিনা কারণে দেখা দেয় এবং কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এটি মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলোতে সাময়িক বাধার কারণে ঘটে, যা মস্তিষ্কের কিছু অংশে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়।

মিনি স্ট্রোকের কারণে সৃষ্ট মাথাব্যথা অন্যান্য মাথাব্যথার থেকে কিছুটা আলাদা হতে পারে। এটি সাধারণত খুব তীব্র হয় এবং এর সাথে অন্যান্য উপসর্গ, যেমন দুর্বলতা, কথা বলতে অসুবিধা, দৃষ্টি সমস্যা বা ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের মাথাব্যথাকে অবহেলা করা উচিত নয় এবং দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এটি একটি গুরুতর স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে।

মিনি স্ট্রোকের ফলে চলাফেরায় অসুবিধা বা সমন্বয়হীনতা

চলাফেরায় অসুবিধা বা সমন্বয়হীনতা

এই রোগটির একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো চলাফেরায় অসুবিধা বা সমন্বয়হীনতা। এটি ঘটে যখন মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মস্তিষ্কের সেই অংশটি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, যার কারণে চলাফেরার নিয়ন্ত্রণ ক্ষতিগ্রস্ত গতি

এই সমন্বয়হীনতার কারণে আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করে ভারসাম্য হারাতে পারেন, হাঁটতে অসুবিধা বোধ করতে পারেন, অথবা শরীরের একপাশে দুর্বলতা অনুভব করতে পারেন। কখনও কখনও, এটি এমনও হতে পারে যে আক্রান্ত ব্যক্তি কোনো জিনিস ধরতে বা সঠিকভাবে নাড়াচাড়া করতে পারছেন না। এই লক্ষণগুলো সাধারণত কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং তারপর নিজে থেকেই সেরে যায়।

মিনি স্ট্রোকের এই লক্ষণগুলোকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। এটি একটি গুরুতর স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। তাই যদি কারও মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়, তবে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা শুরু করলে গুরুতর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।

চেহারার একপাশ ঢলে পড়া (Face Drooping)

মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে মুখের পেশীগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে মুখের একপাশ ঝুলে যেতে পারে।

এই ঢলে পড়া সাধারণত মুখের একপাশে দেখা যায় এবং হাসতে গেলে বা কথা বলতে গেলে এটি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আক্রান্ত ব্যক্তি মুখ নাড়াতে বা চোখ বন্ধ করতে অসুবিধা বোধ করতে পারেন। এই লক্ষণগুলো কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এবং তারপর নিজে থেকেই সেরে যায়।

মিনি স্ট্রোক হলে করণীয়

মিনি স্ট্রোকের লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রথমেই রোগীকে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। চিকিৎসক সাধারণত বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন সিটি স্ক্যান, এমআরআই বা কারোটিড আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে রক্তনালীগুলোর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তার অ্যাসপিরিন বা অন্যান্য ব্লাড থিনার ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন, যা রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে এবং ভবিষ্যতে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।

মিনি স্ট্রোক প্রতিরোধে জীবনধারা পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখা উচিত। শাকসবজি ও ফলমূলযুক্ত খাবার খাওয়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও অতিরিক্ত লবণ এড়ানো, এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ধূমপান ও অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এগুলো রক্তনালীর ক্ষতি করে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি কারও পরিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস থাকে, তাহলে আগেভাগেই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা বুদ্ধিমানের কাজ।

 

লিখেছেন-

ডাঃ সাইফুল ইসলাম, পিটি
বিপিটি ( ঢাবি ), এমপিটি ( অর্থোপেডিকস ) – এন.আই.পি.এস, ইন্ডিয়া
পিজি.সি. ইন আকুপাংচার, ইন্ডিয়া
স্পেশাল ট্রেইন্ড ইন ওজন থেরাপি, ইউ.এস.এ এবং ওজোন ফোরাম, ইন্ডিয়া।
ফিজিওথেরাপি কনসালট্যান্ট, ভিশন ফিজিওথেরাপি সেন্টার।

পরামর্শ পেতে – 01760-636324 (সকাল ৯.০০ থেকে রাত ৯.০০ টা) এই নম্বরে কল করুন এবং এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে নিন।

আমাদের ফেইসবুক পেইজঃ নিউরোফিট

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *