আমাদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

ফ্রী ডাক্তারে পরামর্শ নিতে কল করুন

ওজোন থেরাপি

ওজোন থেরাপি হলো এক ধরনের চিকিৎসা, যেখানে ওজোন গ্যাস (O3) ব্যবহার করা হয়। ওজোন হলো অক্সিজেনের একটি বিশেষ রূপ, যেখানে তিনটি অক্সিজেন পরমাণু একসাথে থাকে। একে “সক্রিয় অক্সিজেন”ও বলা হয়। এই থেরাপিতে নির্দিষ্ট পরিমাণে ওজোন গ্যাস রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হয়, যাতে বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য হয়।

ওজোন থেরাপি কিভাবে কাজ করে?

  • ওজোন থেরাপি শরীরের ভেতরে হওয়া প্রদাহ (যেমন: ব্যথা ও ফোলা) কমাতে সাহায্য করে।
  • ওজোন খুব শক্তিশালী জীবাণুনাশক। তাই এটি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাকের মতো ক্ষতিকর জীবাণু মেরে ফেলতে পারে।
  • এটি শরীরের টিস্যু ও কোষগুলোতে অক্সিজেনের সরবরাহ অনেক বাড়িয়ে দেয়। এতে কোষগুলো ভালোভাবে কাজ করতে পারে।
  • ওজোন আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে, যা রোগ প্রতিরোধের জন্য খুব জরুরি।
  • এটি রক্ত চলাচল উন্নত করে, যার ফলে শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টি ভালোভাবে পৌঁছাতে পারে।
  • ওজোন শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।

ওজোন থেরাপি যেসব সমস্যায় বেশি কার্যকর

  • যাদের স্লিপড ডিস্ক বা কোমরে তীব্র ব্যথা আছে, তাদের ক্ষেত্রে ওজোন গ্যাস ডিস্কের ভেতরে ইনজেকশন দেওয়া হয়। এতে ডিস্কের ভেতরের জল কমে যায় এবং ডিস্ক ছোট হয়ে আসে। অনেক সময় এর মাধ্যমে অপারেশন ছাড়াই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়।
  • হাড় ও জয়েন্টের ব্যথা, যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিস (হাঁটু বা অন্যান্য জয়েন্টের ক্ষয়) এবং বিভিন্ন ধরনের জয়েন্টের ব্যথার চিকিৎসায় ওজোন থেরাপি ভালো কাজ করে।
  • ডায়াবেটিক আলসার (ডায়াবেটিস রোগীদের পায়ের ক্ষত) এর ক্ষেত্রে এটি খুব কার্যকর। এটি সংক্রমণ কমায় এবং ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
  • ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাকের কারণে হওয়া বিভিন্ন সংক্রমণ এর চিকিৎসায় ওজোন ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি জীবাণু মারতে পারে।
  • যারা সব সময় ক্লান্ত অনুভব করেন (ক্রনিক ক্লান্তি সিন্ড্রোম), তাদের ক্ষেত্রে এটি শরীরের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
  • আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস সহ বিভিন্ন ধরনের বাতের চিকিৎসায় এটি কাজে আসে।
  • ফ্রোজেন শোল্ডার বা কাঁধ জমে যাওয়ার চিকিৎসায় এটি উপকারী।
  • তীব্র মাথা ব্যথা বা মাইগ্রেন কমাতেও ওজোন থেরাপি ব্যবহার করা হয়।
  • আইবিএস (পেটের গোলমাল) সহ পেটের নানা সমস্যায় এটি ব্যবহার করা হয়।
  • কিছু কিছু ত্বকের রোগের চিকিৎসায়ও এটি কাজে আসে।
  • বিষণ্ণতা এবং অনিদ্রার মতো মানসিক সমস্যায়ও এটি কিছু ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।

ওজোন থেরাপির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা

  • যদি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক সঠিক পদ্ধতিতে ওজোন থেরাপি দেন, তবে এর কোনো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত হয় না।
  • কিছু ক্ষেত্রে, যেমন স্লিপড ডিস্কের জন্য, এটি অপারেশন ছাড়াই সুস্থ হওয়ার একটি ভালো উপায়।
  • এটি শরীরের ভেতরের প্রদাহ দ্রুত কমাতে সাহায্য করে।
  • এটি আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে, ফলে শরীর নিজেই রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত হয়।
  • ওজোন শরীর থেকে ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থ বের করে শরীরকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
  • এর ফলে শরীরে সঠিকভাবে রক্ত চলাচল হয় এবং কোষগুলো পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পায়।
  • ওজোন সওনা থেরাপির মাধ্যমে শরীর থেকে অনেক ঘাম ঝরে, যা ৪০০-৬০০ ক্যালোরি পর্যন্ত শক্তি পোড়াতে সাহায্য করে।

সাধারণ জিজ্ঞাসা / FAQ

আপনার প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

উত্তর:
সমস্যার ধরন ও থেরাপির উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে সময় নির্ধারিত হয়। সাধারণত ২০–৩০ মিনিটের সেশন সপ্তাহে কয়েকবার করা হয়, তবে একজন থেরাপিস্টই উপযুক্ত সময়সূচি নির্ধারণ করবেন।

উত্তর:
ওজনযুক্ত কম্বল (Weighted Blanket), ওয়েটেড ভেস্ট, মেডিসিন বল, থেরাব্যান্ড, ওজনযুক্ত কাফ ও অন্যান্য ফিজিওথেরাপি সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়।

উত্তর:
হ্যাঁ, তবে এটি অবশ্যই প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধানে করতে হবে। শিশুর বয়স, ওজন ও প্রয়োজন অনুযায়ী থেরাপির ধরন ঠিক করা উচিত।

উত্তর:
সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে সাধারণত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে অতিরিক্ত ওজন বা ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করলে পেশিতে টান, ব্যথা বা ক্লান্তি দেখা দিতে পারে। তাই অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের তত্ত্বাবধান জরুরি।

Scroll to Top