আমাদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি
- আর টি এম এস
- ওজোন থেরাপি
- ফিজিওথেরাপি
- আকুপাংচার
- ই এম এস
- সিআইএমটি
- পিএনএফ থেরাপি
- মিরর থেরাপি
- মোটর ইমেজারী প্রাকটিস
- মুভমেন্ট থেরাপি
মিরর থেরাপি
মিরর থেরাপি হলো আয়না ব্যবহার করে এক ধরনের চিকিৎসা। এতে সুস্থ অঙ্গের নড়াচড়া দেখে মস্তিষ্ককে দুর্বল অঙ্গের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে শেখানো হয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত অংশের কাজ করার ক্ষমতা ফিরে পায় এবং ব্যথা কমায়। এটি দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করে।

মিরর থেরাপি যেসব সমস্যায় বিশেষভাবে কাজে আসে
- স্ট্রোকের কারণে যদি হাত বা পায়ের নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায় বা পক্ষাঘাত হয়, মিরর থেরাপি তখন সেই অঙ্গের কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে এবং শক্তি বাড়াতে খুব কাজে আসে।
- অঙ্গহানির পর অনেক সময় রোগী কেটে ফেলা অঙ্গে ব্যথা অনুভব করেন, যাকে ফ্যান্টম লিম্ব পেইন বলে। মিরর থেরাপি এই ধরনের ব্যথা কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
- এই síndrome-এর কারণে হাত বা পায়ে তীব্র ব্যথা ও ফোলা দেখা দিলে, মিরর থেরাপি ব্যথার তীব্রতা কমাতে এবং অঙ্গের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
- স্নায়ুর ক্ষতির কারণে যদি হাত বা পায়ের পেশী দুর্বল হয়ে যায় বা সংবেদনশীলতা কমে যায়, এই থেরাপি সেই অঙ্গের ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
- ফ্র্যাকচার বা অপারেশনের পর যখন কোনো অঙ্গের নড়াচড়া সীমিত হয়ে যায়, মিরর থেরাপি দ্রুত সেই অঙ্গের নমনীয়তা ও কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
মিরর থেরাপির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
- মিরর থেরাপি মস্তিষ্কের নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলার ক্ষমতাকে জাগিয়ে তোলে। এর ফলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত অংশের জন্য নতুন করে কাজ করার পথ তৈরি করতে পারে।
- এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে কোনো ইনজেকশন বা অপারেশনের দরকার হয় না। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং বাড়িতেও অনুশীলন করা যায় (তবে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে)।
- এই থেরাপি স্নায়ুর ব্যথা, ফোলা এবং অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে, যা রোগীদের জন্য অনেক স্বস্তি নিয়ে আসে।
- রোগীরা যখন আয়নার মাধ্যমে তাদের দুর্বল অঙ্গটিকে নড়াচড়া করতে দেখেন, তখন এটি তাদের মনে ভালো লাগা তৈরি করে এবং নিজের ওপর ভরসা বাড়ায়।
- মিরর থেরাপি আপনার মস্তিষ্কের দারুণ ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে আপনাকে দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করে।
সাধারণ জিজ্ঞাসা / FAQ
আপনার প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
না, এটি সাধারণত ব্যথাহীন। হালকা মাথাব্যথা বা স্কাল্পে চাপ লাগার অনুভূতি হতে পারে, যা সাময়িক।
প্রতিটি সেশন সাধারণত ২০–৪০ মিনিটের হয়ে থাকে।
ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত ১৫–৩০টি সেশন প্রয়োজন হয়।
খুবই সামান্য, যেমন হালকা মাথাব্যথা বা ক্লান্তি। বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত দেখা যায় না।