আমাদের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি
- আর টি এম এস
- ওজোন থেরাপি
- ফিজিওথেরাপি
- আকুপাংচার
- ই এম এস
- মিরর থেরাপি
ফিজিওথেরাপি
ফিজিওথেরাপি হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে ওষুধ বা অপারেশন ছাড়াই আপনার শরীরের ব্যথা কমানো, নড়াচড়ার ক্ষমতা বাড়ানো এবং সার্বিক শারীরিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। এর জন্য ব্যায়াম, নড়াচড়া, তাপ, বিদ্যুৎ, জল এবং ম্যাসাজের মতো বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করা হয়।

ফিজিওথেরাপি কিভাবে কাজ করে?
ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনার শরীরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন এবং আপনার অবস্থার ওপর ভিত্তি করে কিছু বিশেষ কৌশল ব্যবহার করে চিকিৎসা দেন। তাদের প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো:
- বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম, গরম বা ঠান্ডা সেঁক এবং হাতে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যথা কমানো হয়।
- যদি আপনার জয়েন্ট বা পেশীর নড়াচড়া কমে যায়, তাহলে নির্দিষ্ট ব্যায়ামের সাহায্যে তা স্বাভাবিক করা হয়।
- দুর্বল পেশীগুলোকে আবার শক্তিশালী করে তোলার জন্য বিশেষ ব্যায়াম শেখানো হয়।
- হাঁটাচলায় সমস্যা বা ভারসাম্যহীনতা থাকলে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তা ঠিক করা হয়।
- কোনো আঘাত লাগলে বা অপারেশনের পর শরীরকে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ফিজিওথেরাপি সাহায্য করে।
- সঠিক ভঙ্গি এবং ব্যায়াম শেখানোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে একই ধরনের আঘাত লাগার ঝুঁকি কমানো হয়।
ফিজিওথেরাপি যেসব সমস্যায় বেশি কার্যকর
- স্লিপড ডিস্ক, স্পন্ডাইলোসিস, সায়াটিকা, হাঁটু ব্যথা, ফ্রোজেন শোল্ডার, গোড়ালি ব্যথা এবং বাতের ব্যথাসহ বিভিন্ন হাড় ও জয়েন্টের সমস্যায় কার্যকর। এটি হাঁটু বা হিপ প্রতিস্থাপনের পর এবং হাড় জোড়া লাগার পর নড়াচড়ার ক্ষমতা ও পেশী শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
- স্ট্রোকের পর শারীরিক দুর্বলতা, কাঁপুনি, ভারসাম্যের অভাব এবং মুখের বাঁকা অংশ সচল করতে সাহায্য করে।
- পেশী টান, লিগামেন্ট ছেঁড়া, টেনিস এলবো বা গোলফার্স এলবোর মতো আঘাতের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি প্রয়োজন হয়।
- অ্যাজমা, সিওপিডি (COPD) বা নিউমোনিয়ার মতো রোগে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মাধ্যমে ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- সেরিব্রাল পালসি (Cerebral Palsy), ক্লাবফুট (Clubfoot) বা অন্যান্য জন্মগত সমস্যার কারণে হওয়া নড়াচড়ার জটিলতা কমাতে সহায়ক। বয়সের কারণে হওয়া দুর্বলতা, ভারসাম্যহীনতা বা পড়ে যাওয়া প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলে।
- গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের পর কোমর ব্যথা, পেলভিক ফ্লোরের দুর্বলতা ইত্যাদি সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায়।
ফিজিওথেরাপির কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা
ফিজিওথেরাপির অনেক উপকারিতা আছে, যা রোগীকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে এবং তার জীবনযাত্রার মান উন্নত করে:
- অনেক সময় ফিজিওথেরাপি সফলভাবে ব্যথা কমিয়ে দেয় এবং শারীরিক ক্ষমতা ফিরিয়ে আনে, ফলে অপারেশন বা লম্বা সময় ধরে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- এটি ব্যথা কমানোর জন্য নিরাপদ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে, যা ওষুধের সম্ভাব্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এড়াতে সাহায্য করে।
- দুর্বল পেশী, কম নড়াচড়া বা ভারসাম্যের সমস্যা থাকলে ফিজিওথেরাপি সেগুলোকে উন্নত করে এবং আপনাকে দৈনন্দিন কাজগুলো সহজে করতে সাহায্য করে।
- ফিজিওথেরাপিস্টরা আপনাকে সঠিক ভঙ্গি ও ব্যায়াম শিখিয়ে ভবিষ্যতে একই ধরনের আঘাত লাগার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেন।
- আঘাত লাগলে বা অপারেশনের পর এটি আপনাকে দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সাহায্য করে।
- ব্যথা কমে যাওয়া এবং শারীরিক সক্ষমতা বাড়ার কারণে আপনি আপনার প্রতিদিনের কাজগুলো আরও ভালোভাবে করতে পারেন, যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্য ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
- ফিজিওথেরাপিস্টরা প্রতিটি রোগীর জন্য আলাদা করে চিকিৎসার পরিকল্পনা তৈরি করেন, যা রোগীর নির্দিষ্ট প্রয়োজন অনুযায়ী সেরা ফল দিতে সাহায্য করে।
সাধারণ জিজ্ঞাসা / FAQ
আপনার প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
না, এটি সাধারণত ব্যথাহীন। হালকা মাথাব্যথা বা স্কাল্পে চাপ লাগার অনুভূতি হতে পারে, যা সাময়িক।
প্রতিটি সেশন সাধারণত ২০–৪০ মিনিটের হয়ে থাকে।
ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত ১৫–৩০টি সেশন প্রয়োজন হয়।
খুবই সামান্য, যেমন হালকা মাথাব্যথা বা ক্লান্তি। বড় ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত দেখা যায় না।