এটি একটি অবক্ষয়জনিত স্নায়ুবিক রোগ যা বিভিন্ন লক্ষন দেখে বুঝা যায় যেমন শরীরের কম্পন, পেশীর দৃড়তা, শরীরের নড়াচড়ায় ধীরগতি, শরীর কুঁজো করে হাটা।
মস্তীষ্কের যে অংশ আমাদের শরীরের গতিশীলতা নিয়ন্ত্রন করে সে অংশের নিউরনের অবক্ষয়ের কারণে মোটর ফাংশনের ক্রমাগত ক্ষতি হয়, সেটাকে আমরা পারকিনসন ডিজিজ বলে থাকি।
পারকিনসনের কারণঃ
মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরীর কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই রোগ হয়।
পোষ্ট-এনকেফালাইটিক বা প্রদাহ, টক্সিন- যেমন এমপি টিপি, ম্যাঙ্গানিজ, কার্বন মনোক্সাইড দূষণে এটি হতে পারে।
পারকিনসনের লক্ষণঃ
- হাত ও পায়ে কাঁপুনি হয়।
- হাত ও পা স্বাভাবিকের তুলনায় শক্ত হয়ে যায়।
- চলাফেরার গতি ধীর হয়ে যায়। শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেনা ফলে সামনের দিকে ঝুঁকে হাটে।
- হতাশা, উদ্বেগ, উদাসীন।
- ঘুম কম হওয়া, মনোযোগহীনতা।
- চোখের পাতার নড়াচড়া কমে যাবে।
পারকিনসনের চিকিৎসাঃ
পারকিনসন রোগে আরটিএমএস অত্যান্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে,
এছাড়া রয়েছে এন এম ইএস, (নিউরোমাস্কুলার ইলেকট্রিকাল স্টিমুলেশন)
আই আরআর এবং ওয়াক্স দেওয়া যেতে পারে,
এই ছাড়া বিভিন্ন ম্যানুয়াল থেরাপির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব।